,

আউশকান্দি’র মুশাহিদের সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে আমার বক্তব্য

আমি লায়েক রহমান সরদার, পিতা-লুৎফর রহমান সরদার, সাং-আমকোনা, ডাক-আউশকান্দি, থানা-নবীগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ, সপরিবারে আমরা মৌলভীবাজার বসবাস করছি। এমতাবস্থায় আমাদের কেউ বসবাস না করায় আমাদের বাড়ি খালি পেয়ে গত ০৭/০৫/১৫ইং তারিখ, রোজ-বৃহষ্পতিবার রাতে আমাদের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। আইপিএস, বড় ব্যাটারি, রাইস কুকার, গ্যাস কুকার, দুইটি বাথরুমের মালামাল ও পানির টেপ এবং অন্যান্য মালামালসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ প্রায় ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার মালামাল চুরি হয়। এর কয়েকদিন পর দেখা যায় এই আইপিএস বেতাপুরের মৎস্য খামার এর দিক দিয়া একজন লোক এগুলি নিয়া আসিতেছে তখন উলুকান্দির ড্রাইভার ইসলাম উদ্দিন দেখতে পায় এবং জিজ্ঞাস করে ইহার ভিতরে কি আছে? ওই সময় চুর বলে যে, একটি সিডি প্লেয়ার তখন ড্রাইভার ইসলাম উদ্দিন সন্দেহবশত: এটি হাতে নিয়ে দেখে অনেক ওজন সে বুঝতে পারে এটি সিডি প্লেয়ার না অন্যকিছু। তারপর সে তাকে আউশকান্দি সিএনজি সমিতিতে নিয়ে যায় এবং ব্যাগের ভিতর থেকে বের করে দেখা যায় এটি একটি আইপিএস এবং ইহার মালিক খুজে না পাওয়ায় তার সমিতিতে রেখে দেয়। অনেকদিন পর খবর পেয়ে আমরা কয়েকজন (রুস্তমপুরের মেম্বার, আউশকান্দি শিহাব ভাই, বেতাপুরের লায়েক ভাই, ইনতাবাদের শিপন ভাই) গিয়ে দেখতে পাই যে এটি আমার আইপিএস। তারপর আমরা গ্রামে সালিশ ডাকি এবং সবাইকে নিয়ে বসি। সেই সালিশে স্বাক্ষ্য প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের গ্রামের গিয়াস মিয়ার ছেলে মুশাহিদ মিয়া সেই এই চুরির সাথে সম্পৃক্ত (সে তখন পলাতক অবস্থায় চট্টগ্রাম ছিল) এছাড়াও সে আউশকান্দি বাজারের একটি সিএনজি চুরির সাথে জড়িত এবং অন্যান্য সিএনজি চুরি ও অন্যান্য চুরি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত, সে আমাদের আমকোনা গ্রামে দুই বছর পূর্বে কুতুব উদ্দিনের বাড়ীতে চুরি করে সেই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয় যা এখনো বর্তমানে চলিতেছে। সালিশের ঐ সময়ে তাকে ফোন দেওয়া হলে সে বলে সে ২/৩ দিনের ভিতরে চলে আসবে। কিন্তু সময় পার হয়ে গেলে সে আসেনি। তারপর আমরা পুনরায় সালিশে বসি এবং আবার ফোন দিলে তাকে আসার জন্য বলা হলে সে আসবে বলে আরও সময় অতিক্রান্ত করে। তারপর গ্রাম্য সালিশে সবার সিদ্ধান্তক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে গ্রামের পঞ্চায়েত অবমাননা করায় তাহার পিতার কাছ থেকে বন্ড সহি নেওয়া হয় গ্রামের যত চুরি ঘটনা ঘটবে তাহার দায়ভার তাহার ছেলের উপর পড়বে। গত ২৫ আগষ্ট ২০১৫ইং দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকায় আমাদের গ্রামের সালিশের বিশিষ্ট দুই মুরুব্বী মোঃ নোমান সরদার, মো: গৌছ চৌধুরীর সহ আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক ভাইদের ভূল তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে হানহানিকর একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে যা ওই ঘটনা আদৌও সত্য নয়। আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই এবং ওই সংবাদ সর্ম্পকে আমার বক্তব্য প্রেশ করিলাম।
বিনীত
লায়েক রহমান সরদার,
পিতা: লুৎফর রহমান সরদার,
সাং-আমকোনা, ডাক: আউশকান্দি
থানা: নবীগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর